কেন্দুয়া(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে। সংঘর্ষে পর আশংকা জনক অবস্থায় শান্তিরানী দে(৬৫) তার ছেলে প্রদীপ(৪৫) ও চন্দনকে(৪০) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্ভতি করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায় নওপাড়া গ্রামের আ: সালাম ও চন্দনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গ্রাম্য শালিশীতে এ বিরোধ মিমাংশা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চন্দন ও প্রদীপ তাদের দাবিকৃত জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করে সকালে খাবার খেতে বাড়ীতে চলে আসে। এ সময় আ: সালাম ও তার ছেলে মোফাজ্জল চন্দনদের রোপন করা আমন ধানের চারা হাতে টেনে মই দিয়ে মাটিতে পুতিয়ে ফেলতে থাকে। এ খবর শুনে প্রদীপ ও চন্দন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কে বাধা প্রদান করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান প্রদীপ ও চন্দন এ ঘটনায় বাধা দিলে সালাম ও মোফাজ্জল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় প্রদীপের মা শান্ত্মিরানী দে ফিরাতে গেলে সালাম ও মোফাজ্জল তার ওপর ও হামলা চালায়। মায়ের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে চন্দন ও প্রদীপ সালাম ও মোফাজ্জলের ওপর পাল্টা আঘাত করে। এ দিকে প্রদীপ ও চন্দনের দাবি সালাম তার বসতবাড়ীর রান্নাঘরে নিজেই আগুন ধরিয়ে দিয়ে চিৎকার করে আমাদের দায়ী করে কথা বলতে থাকে। খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন চন্দ্র সরকার জানান জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।বসতবাড়ীর রান্নাঘরে আগুন লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারে বলে আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে তদন্ত্ম করলেই প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসবে। নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক জানান চন্দন ও প্রদীপ খুবই নিরীহ লোক। তাদেরকে ও তার মাকে যেভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে তা খুবই মর্মান্ত্মিক। হামলা পর প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সালাম ও মোফাজ্জল নিজেরাই নিজেদের রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রদীপ ও চন্দনকে দায়ি করছে।